সাফারী পার্কের মূল উদ্দেশ্য

(১) শাল বনের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ।
(২) বাংলাদেশের বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণীকে নিজ আবাসস্থলে (রহ-ংরঃঁ) এবং আবাসস্থলে বাহিরে (বী-ংরঃঁ) অবস্থায় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সাধন ।
(৩) ঢাকা মহানগরীর অতি নিকটে ইকো-ট্যুরিজমের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ।
(৪) চিত্তবিনোদন, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা ।
(৫) বন্যপ্রাণীর খাদ্য উপযোগী ফলজ, ফডার, ও মিশ্র প্রজাতির বাগান সৃজন ।
(৬) শালবনের বন্যপ্রাণী যেমন বানর, মায়া হরিণ, বেজী, বনরুই, বাঘদাস, বন বিড়াল, খড়গোশ, শিয়াল, খেকশিয়াল ও অজগরসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল সৃষ্টি ও সংরক্ষণ করা ।
(৭) বিরল ও বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন বাঘ, চিতাবাঘ, সাম্বার হরিণ, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ এবং অন্যান্য তৃণভোজী বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও বংশবৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা ।
(৮) গণ্ডার, এশীয় হাতী, পরিযায়ী পাখী, জলজ পাখী, বনছাগল, সিংহ, শ্লথ বীয়ার, কালো ভাল্লুক, মিঠা পানির কুমির, লোনা পানির কুমির, নীল গাই, জলহস্তী ইত্যাদি বিপন্ন ও বিলুপ্ত বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণকরন ।
(৯) আহত ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণীর সেবাশ্রম ও হাসপাতাল স্থাপন ।
(১০) সারাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি।

পর্যকটগণ যা উপভোগ করবেন

      তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্রে ভিডিও ব্রিফিং/প্রামাণ্য চিত্রের      মাধ্যমে সাফারী পার্ক সম্পর্কে সাম্যক ধারণা নিতে      পারেন।

      ন্যাচারেল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি      বৈচিত্র্য সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকগণ পরিচিতি লাভ      করতে পারেন।


      প্রটেকটেট মিনিবাসে চড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচারণরত      বাঘ, সিংহ, হাতী, সাম্বার, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, বানর,      হনুমান, ভল্লুক, গয়াল, কুমির ও বিচিত্র পাখী দেখাতে      পাবেন।

      লেকের ধারে দেখতে পাবেন অসংখ্য অতিথি ও জলজ      পাখী।

      পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে বনাঞ্চলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য      ও বন্যপ্রাণী অবলোকন করতে পারবেন।

      পাখীশালায় দেখতে পাবেন দেশী-বিদেশী অসংখ্য পাখী।

      এছাড়া বেস্টনীতে বিরল প্রজাতির প্যারা হরিণ।

ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যাদি

বাস সার্ভিস : ঢাকা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে ময়মনসিংহগামী যেকোনো বাসে চড়ে ভবানীপুর বাজার অথবা বাঘের বাজার নামক স্থানে নেমে (অটোরিকশা) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক যাওয়া যায় । মহাসড়ক হতে মাত্র ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ইদ্রপুর বাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক এর প্রদান ফটক ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক বন্ধ এবং খোলার সময় :
পরিদর্শনের সময় : সকাল ১০:০০- বিকাল ০৫:০০

আগামী ২১-০২-২০২৩ইং রোজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক যথারীতি খোলা থাকবে।

পার্ক খোলা দিন :মঙ্গলবার ব্যাতীত সপ্তাহের বাকি ৬ দিন

সাফারী কিংডম

কোর সাফারী পার্ক